প্রকাশিত: Sat, Dec 9, 2023 6:38 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 4:12 PM

বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢেলে সাজানোর প্রকল্প গ্রহণ

মোস্তাফিজার বাবলু, রংপুর :[২] রংপুরে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হলো বেগম রোকেয়া দিবস। শনিবার সকালে বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত ভিটেমাটিতে স্থাপিত ফলকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। বেলা ১১টায় আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


[৩] জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীর ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা,পুরস্কার ও পদক বিতরণ,নাটিকা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠাম। এ ছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও রংপুর রোকেয়া ফোরামসহ রংপুরের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।

[৪] জানা যায়, বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রটি নতুন করে গড়ে তুলতে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে স্মৃতিকেন্দ্রের চেহারা। স্মৃতিকেন্দ্রটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে বাংলা একাডেমি।

[৫] একাডেমি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রটি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। থাকবে আন্তর্জাতিক গবেষণাকেন্দ্র। এ গবেষণাকেন্দ্রে মূলত নারীরাই প্রাধান্য পাবে।

[৬] এছাড়াও থাকবে সংগ্রহশালা, গ্রন্থাগার, হেলথ সেন্টার, মুক্তমঞ্চসহ বেশকিছু অবকাঠামো। পাশাপাশি ধাত্রী, হস্তশিল্পসহ বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে। এসব বাস্তবায়নে ৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


[৭] স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত স্মৃতিকেন্দ্রটিকে একটি অফিস ভবন, গেস্ট হাউস, মিলনায়তন, ডরমিটরি, গবেষণাকক্ষ, প্রশিক্ষণকেন্দ্র, গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়। স্মৃতিকেন্দ্রের পুকুরপাড়ে তৈরি করা হয় বেগম রোকেয়ার একটি ভাস্কর্য।


[৮] বর্তমানে গ্রন্থাগার থাকলেও সেখানে যুগোপযোগী বই ও সাময়িকী নেই। মিলনায়তনের অবস্থাও ভালো না। মঞ্চ ভেঙে গেছে অনেক আগেই, অধিকাংশ চেয়ারই ভগ্ন। নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণকেন্দ্র থাকলেও বেশিরভাগ মেশিন নষ্ট। সংগ্রহশালায়ও নেই উল্লেখযোগ্য কোনো কিছু।

[৯] বাংলা একাডেমিকর মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কেএম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের সবুজ পাতায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৬ অর্থবছরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।

[১০] রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, সবশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে স্মৃতিকেন্দ্রটি বিকেএমই গার্মেন্টস প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়। এরপর দখলমুক্ত করে রোকেয়া চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার দাবি থাকলেও বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। বাংলা একাডেমি নতুন করে এ বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়েছে।